May 06, 2024

ডুয়েটে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ সোমবার (৬ মে, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনোভেশন টিম ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান সকালে উদ্ভাবনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শনী (শোকেসিং) এর উদ্বোধনের পর ইনোভেশন আইডিয়া/ প্রোজেক্টগুলো পরিদর্শন করেন।

ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানের বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা খুবই জরুরি। নতুন কর্ম-পরিধি, সেবা সহজীকরণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ করা সম্ভব। ইনোভেশন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যেতে পারে না। নতুন নতুন সৃষ্টিকর্ম প্রতিষ্ঠানের গতি বাড়ায়। তিনি আরো বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাপ্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডুয়েটের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম আরো গতিশীল ও কর্ম বা শিক্ষাদান পরিবেশ উন্নত হবে।


এ সময় তিনি সকলকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন অফিসার ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনোভেশন টিমের সদস্য ও আইসিটি সেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে দুইটি ক্যাটাগরিতে মোট ২০টি দল শোকেসিংয়ে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বিচারক প্যানেলের ফলাফলের ভিত্তিতে দুইটি ক্যাটাগরিতে ৬টি উদ্ভাবন/আইডিয়াকে পুরস্কার দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে  ‘সমুদ্রসীমার স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম স্থান অধিকার করে। যেটি লেজার বীম সমন্বিত এআই বেইজ রাডার সিস্টেমের মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে সমুদ্রসীমা নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। অন্য ক্যাটাগরিতে ‘এআই বেইজ ওএমআর শিট ইভালুয়েশন সলিউশন’ উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম স্থান অধিকার করে। যেটি কিউআর কোড ইন্টিগ্রেশন, স্বল্প খরচ, দ্রুত গতি এবং মাল্টিপল মার্কিং মেথড (বৃত্ত ভরাট, ক্রস চিহৃ, টিক চিহৃ ইত্যাদি) সম্বলিত।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ইনোভেশন টিমের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

April 25, 2024

ডুয়েটে তিনদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স শুরু

তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক বিষয়ে অধিকতর গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিষয়কে সামনে রেখে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ International Conference on Advancement in Electrical and Electronic Engineering (ICAEEE 2024) বিষয়ক তিনদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স তৃতীয়বারের মতো আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার অডিটোরিয়ামে এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, এই কনফারেন্সটি গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব গঠনে ও মানব কল্যাণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এটি সামগ্রিকভাবে, বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অগ্রগতি, জ্ঞান বিনিময়, সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে, যা একাডেমিয়া, শিল্প, সরকার, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট স্টকহোল্ডারদের উপকারে আসবে।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে ক্রমাগত মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটছে। বিশেষ করে ন্যানোটেকনোলজি ও ন্যানোস্কেলে বিজ্ঞানের ব্যবহার, বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নতুন সম্ভাবনার জগত খুলে দিয়েছে। ন্যানো-প্রযুক্তি, ন্যানোস্কেল ট্রানজিস্টর থেকে কোয়াান্টাম কম্পিউটিং পর্যন্ত-  কিভাবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ডিজাইন এবং তৈরি করা যায়, সেক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটছে। এ প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে ও সহজে যে কোন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া সেন্সর টেকনোলজির উৎকর্যতার মাধ্যমে সেন্সরগুলো ডিজিটাল যুগের চোখ এবং কান হয়ে উঠেছে, যা পরিবেশগত অবস্থা থেকে শিল্প প্রক্রিয়ায় পর্যন্ত সবকিছুর রিয়েল-টাইম ডেটা সরবরাহ করছে। সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নির্ভুলতার সাথে যে কোন তথ্য-উপাত্ত নিরীক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হচ্ছি এবং আরও দক্ষতার সাথে প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের ব্যবহারে সক্ষম হচ্ছি। রোবোটিক্স একসময় বিজ্ঞানের কল্পকাহিনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তা আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। রোবোটিক্স টেকনোলজি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রয়োগের মাধ্যমে গুনগত মান সম্পন্ন পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হচ্ছি। এছাড়া আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং জীবন-যাপন পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। মানবজাতির জীবন-যাপন, কাজ এবং একে অপরের সাথে সম্পর্কে ক্ষেত্রে আমরা একটি নতুন মাত্রা দেখতে পাচ্ছি। ফলে আগামী বিশ্বের অর্থনীতি এবং শিল্পসহ সকলক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উৎকর্ষতা সাধনের এই সময় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক বিশিষ্ট আমন্ত্রিত বক্তা এবং গবেষকদের উপস্থাপনা এবং আলোচনা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশে প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে উন্নত করবে। এছাড়া এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে অর্জিত গবেষণার ফলাফল ও প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনের ধারণা মানবতার কল্যাণে ব্যবহৃত হবে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। তিনি ১৫ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া তিনি তিনদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজনের জন্য অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

ডুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের উদ্যোগে এবং অত্র বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্সের অরগানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল কবিরের সভাপতিত্বে তিনদিন ব্যাপী এ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারস্ (আইইইই)-এর বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদ, ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহফুজ আলম।

তিনদিন ব্যাপী এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে ১৯২ টিরও বেশি টেকনিক্যাল পেপার, ইনভাইটেড টক, কী নোট বক্তৃতা, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন ইত্যাদি উপস্থাপিত হবে। বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও গবেষণা নিয়ে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও ডিসিশন মেকারদের মধ্যে মতবিনিময় এবং কর্মপন্থা নির্ণয়ই এ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের উদ্দেশ্য। এ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর ছিল আইইইই-এর বাংলাদেশ সেকশন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও কনফারেন্সের পাবলিকেশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

April 17, 2024

ডুয়েটে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন

বিভিন্ন কর্মসূচি ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি.) দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়। অবিস্মরণীয় এই ১০ এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের আরেকটি চির ভাস্বর, চির অম্লান ঘটনা ঘটে ১৭ এপ্রিল। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। গৌরবোজ্জ্বল ও চির স্মরণীয় এ দিনটি ইতিহাসের পাতায় ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ হিসেবে পরিচিত।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার এদিন শপথ গ্রহণ করে বিশ্বের বুকে এক অবিস্মরণীয় নজির স্থাপন করেছিল। সে সময় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা জাতির পিতার আদর্শ ও নির্দেশনা সুচারুভাবে পালন করার ফলে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠিত হয়েছিল। জাতির পিতার নির্দেশনায় জাতীয় চার নেতার যোগ্যতম নেতৃত্বে স্বল্প সময়ে দেশ স্বাধীন হয়। দেশের জন্য এসব ত্যাগ ও অবদানের কথা আমাদের সকলের জানা দরকার। জাতি গঠনে দেশপ্রেম ও ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোগীদের আদর্শ ও জীবন সংগ্রাম তুলে ধরতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে আরো জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সকলকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য’ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, দুপুরে বাদ যোহর জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং বিকেলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার গঠন-এর উপর চিত্র প্রদর্শনী।

March 26, 2024

ডুয়েটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। আজ (২৬ মার্চ) মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, লাইব্রেরি ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাঙালি জাতির পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গা ও আত্মপরিচয় অর্জনের দিন ২৬ মার্চ। তবে তা এক দিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিক-নির্দেশনা জাতিকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পোঁছে দেয়। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির শোষণ ও নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ও সংগ্রামের ধাপগুলোর তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং এ দেশের স্বাধীনতা কেন অপরিহার্য তা ব্যাখ্যা করেন। এ সময় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা করার জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন স্বাধীনতা মানে দায়িত্বশীলতা। বঙ্গবন্ধু আত্মসমালোচনা করতে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর এই দায়িত্বশীলতা ও আত্মসমালোচনার দর্শনটি আমাদের জীবনেও চর্চা করে যেতে হবে, যাতে আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে মানবকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারি। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ক্রীড়া, তথ্যপ্রযুক্তি, বৈদেশিক সম্পর্ক, নগর উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, নারী উন্নয়নসহ প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা, মাথাপিছু আয়, রফতানি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি উন্নয়নকে আরো জনমুখী ও টেকসই করতে এবং সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান। এছাড়া মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।

দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও স্বাধীনতার চেতনায় প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ভাবনা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের উপর চিত্র প্রদর্শনী এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বর্ণিল আলোক সজ্জায় সুসজ্জিত করা হয়েছে।

March 25, 2024

ডুয়েটে গণহত্যা দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। আজ (২৫ মার্চ, সোমবার) গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাত ১১:০০ টা হতে ১১:০১ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন ও হলসমূহে আলো নিভিয়ে ‘ব্লাক আউট’ কর্মসূচী পালিত হয়। 

এর আগে সন্ধ্যা ৭:০০ মিনিটে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন ১৯৭১ সালের ভয়াল ২৫ মার্চ। তিনি এই বিভীষিকাময় ২৫ মার্চের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান যখন গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন, তখনই বঙ্গবন্ধু উপলদ্ধি করছিলেন পাকিস্তানি জান্তারা বাঙলিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এঁকেছে। তখন বঙ্গবন্ধু বাংলার আপামর জনতাকে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে দেশমাতৃকার মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহবান জানান এবং ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সকল নির্দেশ পালন করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করে দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ভয়াল ২৫ মার্চের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। বাদ যোহর গণহত্যায় প্রাণ উৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ অনুষ্ঠানগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

March 17, 2024

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মবার্ষিকীতে ডুয়েটে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। আজ (১৭ মার্চ) রবিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ৬.১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, লাইব্রেরি ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ও পরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত হয়। এরপর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, আজ ১৭ মার্চ। ১৯২০ সালের এদিনে বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। তিনি বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নামের এই দেশটি তিনি উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সুযোগ। দুঃখী মানুষদের ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করতো। অধিকার হারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। তাইতো বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। তিনি আরো বলেন, সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হতে চাইলে শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিজেদেরকে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে হবে।

এ সময় উপাচার্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে আরো রয়েছে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর রচনা প্রতিযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও গবেষণা দর্শন’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, বঙ্গবন্ধুর ঘটনা বহুল জীবনের উপর চিত্র প্রদর্শনী এবং তাঁর জীবন ও দর্শনের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী। 

March 07, 2024

ডুয়েটে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ উদযাপন

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপটে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

এরপর ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’-এর তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’ প্রচার করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির মহামন্ত্র ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’। বঙ্গবন্ধুর সেই মর্মস্পর্শী বজ্রনিনাদ সাত কোটি বাঙালির হৃদয়কে বিদ্যুৎ গতিতে আবিষ্ট করেছিল। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয়; বিশ্বজুড়ে সমাদৃত এবং মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা হিসেবে যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে। তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের প্রেক্ষাপট দীর্ঘদিনের, যা জাতির পিতার দীর্ঘ এক আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর বাণী। এই ভাষণের মধ্য দিয়েই একটি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য। তিনি কালজয়ী এই ভাষণের বৈশিষ্ট্যগুলোর বর্ণনায় বাঙালির সংগ্রামের ঐতিহ্য, বঞ্চনার ইতিহাস, গণতান্ত্রিক চেতনা, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার, শান্তির বাণী, মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের মতো কিছু উল্লেখযোগ্য দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে যাওয়ার পূর্বে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সঙ্গে পরামর্শ করেন। উপাচার্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’ বই থেকে উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন - শেখ হাসিনার ভাষায় ‘আমি মাথার কাছে, মা মোড়াটা টেনে নিয়ে আব্বার পায়ের কাছে বসলেন। মা বললেন, মনে রেখ তোমার সামনে লক্ষ মানুষের বাঁশের লাঠি। এই মানুষগুলোর নিরাপত্তা এবং তারা যেন হতাশ হয়ে ফিরে না যায় সেটা দেখা তোমার কাজ। কাজেই তোমার মনে যা আসবে তাই তুমি বলবা। কারও কোনো পরামর্শ দরকার নেই। তুমি মানুষের জন্য সারা জীবন কাজ করো, কাজেই কী বলতে হবে তুমি জানো। এত কথা, এত পরামর্শ কারও কথা শুনবার তোমার দরকার নেই। এই মানুষগুলোর জন্য তোমার মনে যেটা আসবে সেটা তুমি বলবা।’ উপাচার্য বলেন, সেদিনের ভাষণে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। এটি কেবল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অপার শক্তির উৎস, মূলমন্ত্র বা দিক-নির্দেশনা নয়, এটি গোটা বিশ্বের অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। এই ভাষণ শুনে গোটা বাঙালি জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। 

তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। এছাড়া তিনি অগ্নিঝরা এই মার্চ মাসে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। এ সময় তিনি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ উল্লেখ করে এর প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও কর্ম তুলে ধরে চিত্র প্রদর্শনী, ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’-এর উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও উন্নত রাষ্ট্রের ভাবনা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের উদ্যোগে রচনা প্রতিযোগিতা। 

February 29, 2024

ডুয়েটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে (২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা, অলিম্পিক ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, শপথ গ্রহণ, অলিম্পিক মশাল প্রজ্জ্বলনসহ মাঠ প্রদক্ষিণ করা হয়।

দিনব্যাপী এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র) অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক। মাঠাধ্যক্ষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। দিনব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, প্রভোস্ট, অফিস প্রধানগণসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ছাত্রছাত্রীদের সামাজিকীকরণে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলার মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, দলগত প্রচেষ্টা ও নেতৃত্ব প্রদানের গুণাবলী অর্জন করতে পারে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড মননকে প্রসারিত করে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সৎ ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার গুণগুলো খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার খেলাধুলার ভেতর দিয়ে তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কারণে আমরাও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খেলাধুলায় অনেকক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছি। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ভাষার মাসে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের আহবান জানান। 

অনুষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ৩৩টি ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

February 21, 2024

ডুয়েটে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাত ১২.০১ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), প্রভোস্টগণের নেতৃত্বে হলসমূহের শিক্ষার্থীবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, ছাত্রসংগঠন, কর্মচারী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১: ৩০ মিনিটে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মহান শহিদ দিবসের তাৎপর্য ও চেতনা তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, মহান একুশে ফেব্রæয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারসহ আরও অনেকে। আজকের এ দিনে আমি ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার যে ভিত রচনা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, স্বাধীনভাবে ভাষাচর্চার অনুকূল পরিবেশ। বঙ্গবন্ধুই মাতৃভাষা চর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটিয়ে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা চর্চার প্রতি অধিক গুরুত্বারোপসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ছাত্রসমাজসহ সকলকে প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহণের আহবান জানান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ দিবসের তাৎপর্য ও চেতনা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), অফিস প্রধানগণসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মহান শহীদ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ভোরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘একুশের চেতনায় বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের উদ্যোগে শহিদ দিবসের চেতনা তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, বাদ যোহর ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং শহিদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে চিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।

February 20, 2024

ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর ক্যাম্পাসে অবস্থিত ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমান। 

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শুধু আমাদের দেহমনকেই সুস্থ রাখে না; বরং অন্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও স¤প্রীতির বন্ধন তৈরিতেও ভূমিকা রাখে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুধু একটি শ্রেণির মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে, কিন্তু খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পুরো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও অন্যান্য সহশিক্ষামূলক কর্মকান্ড একান্তভাবে জরুরি। এছাড়া তিনি সামাজিক মূল্যবোধ ও চারিত্রিক বিকাশ ঘটাতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ নানামুখী সৃজনশীল ও মননশীল কর্মকান্ডে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান। এ সময় তিনি ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক, পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র) অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তড়িৎ ও ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হক। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুৃলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

February 05, 2024

ডুয়েটে অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে (০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘এপিএ প্রমাণক সংরক্ষণ ও প্রতিবেদন প্রণয়ন’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান এপিএ-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উন্নত, সমৃদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর  স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অর্থবছরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা অর্জন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের অধিকতর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এই অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্টের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া তিনি সকলকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশ প্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নকে আরো বেগবান করার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান।

ডুয়েটের এপিএ টিম ও আইকিউএসি-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণটিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের উপ-পরিচালক ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মলি­ক। প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন এপিএ টিমের টিম লিডার ও আইকিউএসি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুয়েটের এপিএ টিমের ফোকাল পয়েন্ট ও পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) এর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. জিয়াউল হক।

প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ টিমের সদস্যবৃন্দ, এপিএ সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটির আহবায়ক ও ফোকাল পয়েন্টবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অফিসের ফোকাল পয়েন্ট/প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

February 05, 2024

ডুয়েটে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি/ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস- ২০২৪ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার বিকালে (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।

এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। তিনি বক্তব্যের শুরুতে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। গ্রন্থাগারের তাৎপর্য তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, কোনো একটি জাতিকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে এবং ইতিহাস, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সম্পর্কে জানার জন্য জ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই। আর এই জ্ঞানচর্চার আধার হলো গ্রন্থাগার। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি শিক্ষা ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার জন্য সবাইকে বেশি বেশি বই পড়ার আহবান জানান। এক্ষেত্রে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শনকে জানার জন্য তাঁর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়া চীন- এ বইগুলো বেশি বেশি পড়তে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। 

এরপর উপাচার্য কোহা ও ইনস্টিটিউশনাল রিপোজিটরি নামের দুটি অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরে লাইব্রেরী ভবনের দ্বিতীয় তলায় সম্পসারণ ও আধুনিকায়নকৃত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ নামের কর্নারটি পরিদর্শন করেন। ডুয়েটের ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’টি মূলত বঙ্গবন্ধুর জীবন, দর্শন, রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রাম, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদির উপর জীবনীগ্রন্থ, গবেষণা-আলোচনাধর্মী গ্রন্থসহ নানা ধরনের গ্রন্থ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কর্নার হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। 

লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আকরামুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক এবং স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. সাহাব উদ্দিন। অনুষ্ঠানে লাইব্রেরির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। 

ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মো. আবু আউয়াল সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, অফিস প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

January 30, 2024

ডুয়েটে আন্তঃহল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আন্তঃহল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বিজয়ী, বিজিত ও খেলায় অংশগ্রহণকারী- সবাইকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, খেলাধুলা ও শারীরিক পরিশ্রম শুধু আমাদের দেহমনকেই সুস্থ রাখে না; বরং অন্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও স¤প্রীতির বন্ধন তৈরিতেও ভূমিকা রাখে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা একান্তভাবে জরুরি। বর্তমান সরকারের নিবিড় প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সফলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের জীবনধারার মানের উন্নয়ন ঘটেছে। তবে সেই পরিবর্তিত জীবনধারার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য শরীর ও মনের সমন্বয় এবং ব্যক্তিগত জীবনের উন্নতির স্বার্থেই আমাদের খেলাধুলা ও শারীরিক পরিশ্রমের দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া সামাজিক মূল্যবোধ ও চারিত্রিক বিকাশ ঘটাতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ নানামুখী সৃজনশীল ও মননশীল কর্মকান্ডে যুক্ত হতে হবে।

এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ খেলায় অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান। তিনি মনো-দৈহিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করার আহবান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক। প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় এসএম হল (বীরশ্রেষ্ঠ) চ্যাম্পিয়ন এবং বিএসএল (ওয়ারিয়র্স) রানার আপ হয়। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, হলের প্রভোস্টগণ, অফিস প্রধানগণসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

January 23, 2024

ডুয়েটে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্র্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার অডিটোরিয়ামে এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।

পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ ও বিভাগীয় প্রধানগণ। ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ডুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তোমরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছ। এজন্য তোমাদেরকে জানাই অভিনন্দন ও আন্তরিক ধন্যবাদ। তোমাদের পদচারণায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ আজ মুখরিত। তোমাদের আগামীর দিনগুলো আনন্দময় হোক। তিনি আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ এবং দেশের বাইরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, তোমরা তাদের উত্তরসূরী। তোমাদের সাফল্যের একমাত্র পথ হচ্ছে পরিশ্রম। কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়।

তিনি আরো বলেন, তোমাদেরকে সৎ ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে এবং নিজেদের সংস্কৃতিকে ধারণ করে সু-নাগরিক ও দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। গ্রোবালাইজেশনের এই যুগে পুরো পৃথিবীর গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে তোমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তোমরা যেন সোনার মানুষ হয়ে সেই স্বপ্ন পূরণে অগ্রবর্তি হও। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ ১৪ ডিসেম্বরের সকল শহীদ বুদ্ধিজীবি ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি এবং ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তোমরা যেন সঠিক সময়ের মধ্যে কোর্স সম্পন্ন করে ভালো ফলাফল নিয়ে প্রকৌশলী হয়ে বের হয়ে কর্মের মাধ্যমে দেশের সেবা করতে পারো। তিনি শিক্ষার্থীদের সময়ানুবর্তি হয়ে শৃঙ্খলা মেনে গুরুত্বসহকারে পড়াশোনার আহবান জানান।

রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ডুয়েটের এই সুন্দর ক্যাম্পাসে তোমাদের পথচলা শুরু হলো। তোমরা কঠোর পরিশ্রম ও পড়ালেখা করে মেধা বিকাশের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে এবং ডুয়েট ও দেশের সুনাম বয়ে আনবে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মিঠুন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহামুদ হাসান মান্না। এছাড়া নবীন শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রথম বর্ষের দুজন শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করেন ও ডুয়েট লাইব্রেরির রিসোর্স নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধানগণ এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

January 15, 2024

ডুয়েটে ‘গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্প’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্প বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ডুয়েটের শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়রের উপদেষ্টা এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন ডুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা নিরাপদ, বাসযোগ্য এবং সমৃদ্ধ সিটি কর্পোরেশন তৈরি করার লক্ষ্যে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে গাজীপুর মহানগরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ, সুবিন্যস্ত, পরিবেশ সম্মত, গতিশীল ও মানসম্মত জনবসতি গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া এই মাস্টার প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ এই সমৃদ্ধশালী শহরে বসবাসকারী নগরবাসীদের চাহিদা মেটাতে পরিবেশসম্মত বাসযোগ্য একটি আধুনিক নগরী উপহার দিবেন বলে কর্মশালায় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এই মাস্টার প্লানটি সুচারুভাবে প্রণয়ন ও সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দ ডুয়েটের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রথমে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্পের কো-অর্ডিনেশন টিম লিডার ও ডুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক। প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন প্রকল্পের ওয়ার্কিং টিমের টিম লিডার  অধ্যাপক আখতারুজ জামান চৌধুরী ও ডেপুটি টিম লিডার সামায়ুন-আল-নুর। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। 

ডুয়েটের কনসালটেন্সি রিসার্চ অ্যান্ড টেস্টিং সার্ভিস (সিআরটিএস), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালা আয়োজিত হয়। ডুয়েটের সিআরটিএস এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী আবু মঞ্জুরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আকরামুল আলম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মো. শওকত ওসমান, ডুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), অফিস প্রধানবৃন্দ এবং সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আব্দুল হান্নান, সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প পরিচালক মো. মইনুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আকবর হোসেন, বিভিন্ন জোনের নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ডুয়েটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়া গাজীপুরের বিভিন্ন অফিস ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন স্তরের নানা শ্রেণীর পেশাজীবিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।