September 01, 2024

ডুয়েট ডে- ২০২৪ উদযাপিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ২১তম বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে ‘প্রযুক্তি দিয়ে গড়ব দেশ/ বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ডুয়েট ডে- ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, কেক কাটা ও পায়রা উড়িয়ে ডুয়েট ডে- ২০২৪ এর উদ্বোধন করা হয়। এরপর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়। এছাড়া বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডুয়েট ডে উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে জরুরি একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত ওসমান। আরো বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শরাফত হোসেন ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন ডুয়েটের যানবাহন দপ্তরের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন আল রশীদ ও বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আমান উল্লাহ। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে ডুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মনির হোসেন ও তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ ডুয়েটের বিভিন্ন ক্লাবসমূহের স্টল পরিদর্শন করেন। এ স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে সৃজনী, এএসসিই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, ডুয়েট রোবোটিক্স্র ক্লাব, স্থাপত্য সংঘ, ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি, ডুয়েট টেক্সটাইল ক্যারিয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, ডুয়েট কম্পিউটার সোসাইটি, ডুয়েট সাংবাদিক সমিতি, ম্যাথ ক্লাব, ডুয়েট ক্যারিয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ক্লাব, ডুয়েট স্পোর্টস ক্লাব। দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে আরো ছিল ছাত্র-শিক্ষক ও ছাত্র-কর্মকর্তা প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

June 11, 2024

ডুয়েটে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১১ জুন, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন টিম ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের উদ্যোগে ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। 

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য ১৫ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র  শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিনির্ভর ও শিক্ষিত করে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু সবসময় মনে-প্রাণে চেষ্টা করেছেন। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যমে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে ডিজিটাল সক্ষমতা সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা তৈরি হওয়ায় আমাদের বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশে সবকিছু হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। সেখানে নাগরিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনৈতিক কার্যক্রমসহ দেশের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সরকারের সকল কার্যক্রম ও সমাজের নাগরিকদের স্মার্ট করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে। এছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আলোকে স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডাটা, সাইবার নিরাপত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা যদি সরকারের এই মহাপরিকল্পনায় প্রত্যেকের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করি, আশা করা যায় আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। 

উপাচার্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার চারটি ভিত্তি তথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি-এর স্তম্ভগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং তাঁর সুযোগ্য পুত্র আর্কিটেক অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার স্বপ্নকে আরো বেগবান করতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন টিমের ইনোভেশন অফিসার ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ও আইসিটি সেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। আইসিটি সেলের কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইঞ্জিনিয়ার সোলাইমান আহমেদের সঞ্চালনায় কর্মশালাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

June 03, 2024

ডুয়েটে ‘তাপ প্রবাহ সম্পর্কিত অসুস্থতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘তাপ প্রবাহ সম্পর্কিত অসুস্থতা’ বিষয়ক সেমিনার আজ সোমবার (০৩ জুন, ২০২৪ খ্রি.) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে আমরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও তাপ প্রবাহসহ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচিসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী ধারণার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের উচিত পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং তাপ প্রবাহ সম্পর্কিত অসুস্থতা সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা। এ সময় তিনি ১৫ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। 

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) টিমের টিম লিডার ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদের সভাপতিত্বে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর-এর মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল ও মেডিকেল সেন্টারের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মেডিকেল সেন্টারের অফিস প্রধান ও ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আলী আজগর খান। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

June 02, 2024

ডুয়েটে ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২৪)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২৪)’ শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এ কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপি।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর কর্তৃক আয়োজিত ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২৪)’ শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি চমৎকার এই অনুষ্ঠানের  আয়োজক কমিটি, প্রতিনিধি, বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সমৃদ্ধি আর নানা অর্জনের মধ্য দিয়ে গাজীপুরের ভাওয়াল ভূমিতে অবস্থিত ডুয়েট গৌরব আর সাফল্যে দেশের অন্যতম একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ গঠনের যে দর্শন দিয়ে গেছেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ও দর্শনকে প্রতিটি কর্মে প্রতিফলিত করে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও সৃজনশীল কর্মকান্ড দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মনে রাখবেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন আমাদের প্রতিটি কর্মে প্রতিফলিত হলে আমরা এগিয়ে যাবোই, কেউ আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।  

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ, গভীর সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্প, আইসিটি খাতের উন্নয়ন, তেল, গ্যাস, কয়লা, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ এ ধরনের আরো অনেক কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের দেশ ধান উৎপাদন, মৎস্য, সবজিসহ নানা ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর কাতারে পৌঁছেছে। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে গবেষণার ফলেই এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের প্রাক্কালে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং জ্ঞানের আদান-প্রদানের জন্য এই ধরনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে আরো দক্ষ হয়ে উঠতে সহায়তা করবে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে, এর সঙ্গে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি কনফারেন্সটি সফল করার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর, আয়োজক কমিটি, যন্ত্রকৌশল অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ এবং স্বেচ্ছাসেবকসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এছাড়া তিনি এই কনফারেন্স থেকে মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক উদ্ভাবনী ধারণা এবং জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দেশ গঠনে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, আজ আমরা যখন যন্ত্রকৌশল, উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকৌশলে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করছি, তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি  ও অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশের, যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাতীয় উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। তাঁর স্বপ্ন আমাদের জাতিকে উদ্ভাবন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এসব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগগ্রতি সাধন করেছে, যা আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

তিনি বলেন, যন্ত্রকৌশল, উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেম, ইন্টারনেট অফ থিংস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি প্রধান ভূমিকা পালন করছে। এর ধারাবাহিকতায় আমরা থ্রিডি প্রিন্টিং, স্মার্ট টেক্সটাইল, সবুজ রসায়ন, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির মতো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো প্রত্যক্ষ করছি। আমার বিশ্বাস, এই সম্মেলনটি এই ধরনের জটিল প্রকৌশল বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও আমাদের মাতৃভূমির জন্য টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে এবং জ্ঞানের আদান-প্রদান ও সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আমি ডুয়েটের যন্ত্রকৌশল অনুষদকে শিক্ষার এবং গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা ও কনফারেন্সটি সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। 

এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য শিক্ষক, গবেষক, উদ্ভাবক ও শিল্প উদ্যোক্তাসহ সকলকে উপাচার্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসারের সভাপতিত্বে মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্সের অরগানাইজিং কমিটির চেয়ার অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক ও কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার ও পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রসিডিং পাবলিকেশন কমিটির চেয়ার ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. খালেদ খলিল, এডিটর ইন চিফ ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.এন.এম. মমিনুল ইসলাম মুকুট, কনফারেন্স সেক্রেটারি ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহযোগী সেক্রেটারি ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ মিয়াকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সুষ্ঠুভাবে কনফারেন্সটি সফল করার জন্য অনুষ্ঠানের সভাপতি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৯৮ টির অধিক টেকনিক্যাল পেপার, কী নোট বক্তৃতা, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন ইত্যাদি উপস্থাপিত হয় এবং এর মধ্য থেকে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

May 29, 2024

ডুয়েটে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ বুধবার (২৯ মে, ২০২৪ খ্রি.) ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএমএমপিই-২০২৪)’ শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধন করা হয়। 

মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং, এনার্জি, টেক্সটাইল, ফুড, কেমিক্যাল এবং প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধিকতর গবেষণা ও উদ্ভাবনকে লক্ষ্য রেখে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে যন্ত্রকৌশল অনুষদের উদ্যোগে এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। 

তিনি বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তিগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যা ন্যানোটেকনোলজি, শক্তি সঞ্চয়, বৈদ্যুতিক যানবাহন, রোবোটিক্স এবং স্মার্ট টেক্সটাইলগুলির মতো প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বকে সমৃদ্ধ করছে। আমাদের দেশে এই খাতসমূহের অধিকতর উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটাতে এবং বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের অবশ্যই ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলিকে মোকাবেলা করে জলবায়ু পরিবর্তন, সম্পদের ঘাটতি এবং টেকসই উন্নয়নের মতো বিষয়সমূহের সমন্বিত গবেষণা প্রচেষ্টা, সহযোগিতা এবং জ্ঞান আদান-প্রদানসহ সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে স্মার্ট, আরো টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথকে প্রশস্ত করতে হবে। তিনি এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উৎকর্ষতা সাধনে মেকাট্রনিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, নতুন নতুন ম্যাটেরিয়াল উদ্ভাবন এবং কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সমস্যাগুলোকে সমাধান করে যন্ত্রকৌশল অনুষদের প্রকৌশলীদের দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে দৃষ্টান্ত সারা বিশ্বে স্থাপন করেছেন, তা জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। নিজেদের শক্তিতে যে নিজেদের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব তা পদ্মাসেতুর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সরকার ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ, গভীর সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্প, আইসিটি খাতের উন্নয়ন, তেল, গ্যাস, কয়লা, প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ এ ধরনের আরো অনেক কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য শিক্ষক, গবেষক, উদ্ভাবক ও শিল্প উদ্যোক্তাসহ সকলকে উপাচার্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কী নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম।  অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্সের অরগানাইজিং সেক্রেটাারি অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক, কনফারেন্স সেক্রেটারি ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার ও পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, কনফারেন্সের সহযোগী সেক্রেটারি ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ মিয়া। 

তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৯৮ টির অধিক টেকনিক্যাল পেপার, কী নোট বক্তৃতা, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন ইত্যাদি উপস্থাপিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 


May 28, 2024

অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) সফ্টওয়্যার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুরে -এ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) সফ্টওয়্যার’ বিষয়ক কর্মশালা আজ মঙ্গলবার (২৮ মে, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম.হাবিবুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি এবং ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র  শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের মাধ্যমে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই প্রেক্ষাপটে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কার্যক্রমের আওতায় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সে আলোকে জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, সেবার মানোন্নয়ন এবং ভোগান্তিবিহীন জনসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কর্মপদ্ধতি।এরই ধারাবাহিকতায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবার মানোন্নয়ন, আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাএবং নাগরিক সেবা সহজে প্রদান করার লক্ষ্যে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক কর্মশালায় আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, জিআরএস-এর মাধ্যমে আরোবিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সুনিশ্চিত হবে।

উক্ত কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত (অনলাইন জুমের মাধ্যমে) ছিলেনবাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড.  ফেরদৌস জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে আরো উপস্থিত ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক ওফোকাল পয়েন্ট (জিআরএস) মৌলি আজাদ এবংইউজিসির প্রশাসন বিভাগের সহকারী সচিব (লিগ্যাল) মোহাম্মদ শোয়াইব। স্বাগত বক্তব্য দেন অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য-সচিব ও অনিক কর্মকর্তা অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. মফিজুর রহমান।

কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালূেয়র অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনাকমিটির সকল সদস্যবৃন্দ এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর ও প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

May 06, 2024

ডুয়েটে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ সোমবার (৬ মে, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনোভেশন টিম ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান সকালে উদ্ভাবনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শনী (শোকেসিং) এর উদ্বোধনের পর ইনোভেশন আইডিয়া/ প্রোজেক্টগুলো পরিদর্শন করেন।

ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানের বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা খুবই জরুরি। নতুন কর্ম-পরিধি, সেবা সহজীকরণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ করা সম্ভব। ইনোভেশন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যেতে পারে না। নতুন নতুন সৃষ্টিকর্ম প্রতিষ্ঠানের গতি বাড়ায়। তিনি আরো বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাপ্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডুয়েটের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম আরো গতিশীল ও কর্ম বা শিক্ষাদান পরিবেশ উন্নত হবে।


এ সময় তিনি সকলকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন অফিসার ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনোভেশন টিমের সদস্য ও আইসিটি সেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে দুইটি ক্যাটাগরিতে মোট ২০টি দল শোকেসিংয়ে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বিচারক প্যানেলের ফলাফলের ভিত্তিতে দুইটি ক্যাটাগরিতে ৬টি উদ্ভাবন/আইডিয়াকে পুরস্কার দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে  ‘সমুদ্রসীমার স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম স্থান অধিকার করে। যেটি লেজার বীম সমন্বিত এআই বেইজ রাডার সিস্টেমের মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে সমুদ্রসীমা নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। অন্য ক্যাটাগরিতে ‘এআই বেইজ ওএমআর শিট ইভালুয়েশন সলিউশন’ উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম স্থান অধিকার করে। যেটি কিউআর কোড ইন্টিগ্রেশন, স্বল্প খরচ, দ্রুত গতি এবং মাল্টিপল মার্কিং মেথড (বৃত্ত ভরাট, ক্রস চিহৃ, টিক চিহৃ ইত্যাদি) সম্বলিত।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ইনোভেশন টিমের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

April 25, 2024

ডুয়েটে তিনদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স শুরু

তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক বিষয়ে অধিকতর গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিষয়কে সামনে রেখে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ International Conference on Advancement in Electrical and Electronic Engineering (ICAEEE 2024) বিষয়ক তিনদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স তৃতীয়বারের মতো আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার অডিটোরিয়ামে এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, এই কনফারেন্সটি গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব গঠনে ও মানব কল্যাণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এটি সামগ্রিকভাবে, বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অগ্রগতি, জ্ঞান বিনিময়, সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে, যা একাডেমিয়া, শিল্প, সরকার, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট স্টকহোল্ডারদের উপকারে আসবে।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে ক্রমাগত মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটছে। বিশেষ করে ন্যানোটেকনোলজি ও ন্যানোস্কেলে বিজ্ঞানের ব্যবহার, বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নতুন সম্ভাবনার জগত খুলে দিয়েছে। ন্যানো-প্রযুক্তি, ন্যানোস্কেল ট্রানজিস্টর থেকে কোয়াান্টাম কম্পিউটিং পর্যন্ত-  কিভাবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ডিজাইন এবং তৈরি করা যায়, সেক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটছে। এ প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে ও সহজে যে কোন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া সেন্সর টেকনোলজির উৎকর্যতার মাধ্যমে সেন্সরগুলো ডিজিটাল যুগের চোখ এবং কান হয়ে উঠেছে, যা পরিবেশগত অবস্থা থেকে শিল্প প্রক্রিয়ায় পর্যন্ত সবকিছুর রিয়েল-টাইম ডেটা সরবরাহ করছে। সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নির্ভুলতার সাথে যে কোন তথ্য-উপাত্ত নিরীক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হচ্ছি এবং আরও দক্ষতার সাথে প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদের ব্যবহারে সক্ষম হচ্ছি। রোবোটিক্স একসময় বিজ্ঞানের কল্পকাহিনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তা আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। রোবোটিক্স টেকনোলজি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রয়োগের মাধ্যমে গুনগত মান সম্পন্ন পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হচ্ছি। এছাড়া আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং জীবন-যাপন পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। মানবজাতির জীবন-যাপন, কাজ এবং একে অপরের সাথে সম্পর্কে ক্ষেত্রে আমরা একটি নতুন মাত্রা দেখতে পাচ্ছি। ফলে আগামী বিশ্বের অর্থনীতি এবং শিল্পসহ সকলক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উৎকর্ষতা সাধনের এই সময় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক বিশিষ্ট আমন্ত্রিত বক্তা এবং গবেষকদের উপস্থাপনা এবং আলোচনা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশে প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে উন্নত করবে। এছাড়া এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে অর্জিত গবেষণার ফলাফল ও প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনের ধারণা মানবতার কল্যাণে ব্যবহৃত হবে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। তিনি ১৫ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া তিনি তিনদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজনের জন্য অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

ডুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের উদ্যোগে এবং অত্র বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্সের অরগানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল কবিরের সভাপতিত্বে তিনদিন ব্যাপী এ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারস্ (আইইইই)-এর বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদ, ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহফুজ আলম।

তিনদিন ব্যাপী এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে বিভিন্ন বিষয়ে ১৯২ টিরও বেশি টেকনিক্যাল পেপার, ইনভাইটেড টক, কী নোট বক্তৃতা, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন ইত্যাদি উপস্থাপিত হবে। বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ও গবেষণা নিয়ে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক ও ডিসিশন মেকারদের মধ্যে মতবিনিময় এবং কর্মপন্থা নির্ণয়ই এ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের উদ্দেশ্য। এ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর ছিল আইইইই-এর বাংলাদেশ সেকশন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও কনফারেন্সের পাবলিকেশন চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

April 17, 2024

ডুয়েটে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন

বিভিন্ন কর্মসূচি ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি.) দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়। অবিস্মরণীয় এই ১০ এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের আরেকটি চির ভাস্বর, চির অম্লান ঘটনা ঘটে ১৭ এপ্রিল। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। গৌরবোজ্জ্বল ও চির স্মরণীয় এ দিনটি ইতিহাসের পাতায় ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ হিসেবে পরিচিত।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার এদিন শপথ গ্রহণ করে বিশ্বের বুকে এক অবিস্মরণীয় নজির স্থাপন করেছিল। সে সময় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা জাতির পিতার আদর্শ ও নির্দেশনা সুচারুভাবে পালন করার ফলে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠিত হয়েছিল। জাতির পিতার নির্দেশনায় জাতীয় চার নেতার যোগ্যতম নেতৃত্বে স্বল্প সময়ে দেশ স্বাধীন হয়। দেশের জন্য এসব ত্যাগ ও অবদানের কথা আমাদের সকলের জানা দরকার। জাতি গঠনে দেশপ্রেম ও ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোগীদের আদর্শ ও জীবন সংগ্রাম তুলে ধরতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে আরো জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সকলকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য’ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, দুপুরে বাদ যোহর জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং বিকেলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার গঠন-এর উপর চিত্র প্রদর্শনী।

March 26, 2024

ডুয়েটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। আজ (২৬ মার্চ) মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, লাইব্রেরি ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাঙালি জাতির পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গা ও আত্মপরিচয় অর্জনের দিন ২৬ মার্চ। তবে তা এক দিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিক-নির্দেশনা জাতিকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পোঁছে দেয়। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির শোষণ ও নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ও সংগ্রামের ধাপগুলোর তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং এ দেশের স্বাধীনতা কেন অপরিহার্য তা ব্যাখ্যা করেন। এ সময় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা করার জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন স্বাধীনতা মানে দায়িত্বশীলতা। বঙ্গবন্ধু আত্মসমালোচনা করতে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর এই দায়িত্বশীলতা ও আত্মসমালোচনার দর্শনটি আমাদের জীবনেও চর্চা করে যেতে হবে, যাতে আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে মানবকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারি। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ক্রীড়া, তথ্যপ্রযুক্তি, বৈদেশিক সম্পর্ক, নগর উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, নারী উন্নয়নসহ প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা, মাথাপিছু আয়, রফতানি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি উন্নয়নকে আরো জনমুখী ও টেকসই করতে এবং সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান। এছাড়া মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।

দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও স্বাধীনতার চেতনায় প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ভাবনা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের উপর চিত্র প্রদর্শনী এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বর্ণিল আলোক সজ্জায় সুসজ্জিত করা হয়েছে।

March 25, 2024

ডুয়েটে গণহত্যা দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। আজ (২৫ মার্চ, সোমবার) গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাত ১১:০০ টা হতে ১১:০১ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন ও হলসমূহে আলো নিভিয়ে ‘ব্লাক আউট’ কর্মসূচী পালিত হয়। 

এর আগে সন্ধ্যা ৭:০০ মিনিটে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন ১৯৭১ সালের ভয়াল ২৫ মার্চ। তিনি এই বিভীষিকাময় ২৫ মার্চের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান যখন গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন, তখনই বঙ্গবন্ধু উপলদ্ধি করছিলেন পাকিস্তানি জান্তারা বাঙলিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এঁকেছে। তখন বঙ্গবন্ধু বাংলার আপামর জনতাকে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে দেশমাতৃকার মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহবান জানান এবং ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সকল নির্দেশ পালন করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করে দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ভয়াল ২৫ মার্চের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। বাদ যোহর গণহত্যায় প্রাণ উৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ অনুষ্ঠানগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

March 17, 2024

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মবার্ষিকীতে ডুয়েটে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। আজ (১৭ মার্চ) রবিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ৬.১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, লাইব্রেরি ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ও পরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত হয়। এরপর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, আজ ১৭ মার্চ। ১৯২০ সালের এদিনে বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। তিনি বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নামের এই দেশটি তিনি উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সুযোগ। দুঃখী মানুষদের ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করতো। অধিকার হারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। তাইতো বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। তিনি আরো বলেন, সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হতে চাইলে শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিজেদেরকে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে হবে।

এ সময় উপাচার্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে আরো রয়েছে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর রচনা প্রতিযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও গবেষণা দর্শন’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, বঙ্গবন্ধুর ঘটনা বহুল জীবনের উপর চিত্র প্রদর্শনী এবং তাঁর জীবন ও দর্শনের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী। 

March 07, 2024

ডুয়েটে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ উদযাপন

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপটে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

এরপর ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’-এর তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’ প্রচার করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির মহামন্ত্র ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’। বঙ্গবন্ধুর সেই মর্মস্পর্শী বজ্রনিনাদ সাত কোটি বাঙালির হৃদয়কে বিদ্যুৎ গতিতে আবিষ্ট করেছিল। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয়; বিশ্বজুড়ে সমাদৃত এবং মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা হিসেবে যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে। তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের প্রেক্ষাপট দীর্ঘদিনের, যা জাতির পিতার দীর্ঘ এক আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর বাণী। এই ভাষণের মধ্য দিয়েই একটি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য। তিনি কালজয়ী এই ভাষণের বৈশিষ্ট্যগুলোর বর্ণনায় বাঙালির সংগ্রামের ঐতিহ্য, বঞ্চনার ইতিহাস, গণতান্ত্রিক চেতনা, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার, শান্তির বাণী, মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের মতো কিছু উল্লেখযোগ্য দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে যাওয়ার পূর্বে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সঙ্গে পরামর্শ করেন। উপাচার্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’ বই থেকে উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন - শেখ হাসিনার ভাষায় ‘আমি মাথার কাছে, মা মোড়াটা টেনে নিয়ে আব্বার পায়ের কাছে বসলেন। মা বললেন, মনে রেখ তোমার সামনে লক্ষ মানুষের বাঁশের লাঠি। এই মানুষগুলোর নিরাপত্তা এবং তারা যেন হতাশ হয়ে ফিরে না যায় সেটা দেখা তোমার কাজ। কাজেই তোমার মনে যা আসবে তাই তুমি বলবা। কারও কোনো পরামর্শ দরকার নেই। তুমি মানুষের জন্য সারা জীবন কাজ করো, কাজেই কী বলতে হবে তুমি জানো। এত কথা, এত পরামর্শ কারও কথা শুনবার তোমার দরকার নেই। এই মানুষগুলোর জন্য তোমার মনে যেটা আসবে সেটা তুমি বলবা।’ উপাচার্য বলেন, সেদিনের ভাষণে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। এটি কেবল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অপার শক্তির উৎস, মূলমন্ত্র বা দিক-নির্দেশনা নয়, এটি গোটা বিশ্বের অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। এই ভাষণ শুনে গোটা বাঙালি জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। 

তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। এছাড়া তিনি অগ্নিঝরা এই মার্চ মাসে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। এ সময় তিনি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ উল্লেখ করে এর প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও কর্ম তুলে ধরে চিত্র প্রদর্শনী, ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’-এর উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও উন্নত রাষ্ট্রের ভাবনা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের উদ্যোগে রচনা প্রতিযোগিতা। 

February 29, 2024

ডুয়েটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা- ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে (২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা, অলিম্পিক ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, শপথ গ্রহণ, অলিম্পিক মশাল প্রজ্জ্বলনসহ মাঠ প্রদক্ষিণ করা হয়।

দিনব্যাপী এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র) অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক। মাঠাধ্যক্ষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। দিনব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, প্রভোস্ট, অফিস প্রধানগণসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ছাত্রছাত্রীদের সামাজিকীকরণে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলার মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, দলগত প্রচেষ্টা ও নেতৃত্ব প্রদানের গুণাবলী অর্জন করতে পারে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড মননকে প্রসারিত করে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সৎ ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার গুণগুলো খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার খেলাধুলার ভেতর দিয়ে তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কারণে আমরাও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খেলাধুলায় অনেকক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছি। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। এছাড়া তিনি ভাষার মাসে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের আহবান জানান। 

অনুষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ৩৩টি ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

February 21, 2024

ডুয়েটে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাত ১২.০১ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), প্রভোস্টগণের নেতৃত্বে হলসমূহের শিক্ষার্থীবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, ছাত্রসংগঠন, কর্মচারী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১: ৩০ মিনিটে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মহান শহিদ দিবসের তাৎপর্য ও চেতনা তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, মহান একুশে ফেব্রæয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারসহ আরও অনেকে। আজকের এ দিনে আমি ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার যে ভিত রচনা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, স্বাধীনভাবে ভাষাচর্চার অনুকূল পরিবেশ। বঙ্গবন্ধুই মাতৃভাষা চর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটিয়ে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা চর্চার প্রতি অধিক গুরুত্বারোপসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ছাত্রসমাজসহ সকলকে প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহণের আহবান জানান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ দিবসের তাৎপর্য ও চেতনা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.), অফিস প্রধানগণসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মহান শহীদ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ভোরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘একুশের চেতনায় বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের উদ্যোগে শহিদ দিবসের চেতনা তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, বাদ যোহর ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং শহিদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে চিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।