জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মবার্ষিকীতে ডুয়েটে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী উদযাপিত
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। আজ (১৭ মার্চ) রবিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ৬.১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, লাইব্রেরি ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ও পরে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত হয়। এরপর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, আজ ১৭ মার্চ। ১৯২০ সালের এদিনে বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। তিনি বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নামের এই দেশটি তিনি উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সুযোগ। দুঃখী মানুষদের ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করতো। অধিকার হারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। তাইতো বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। তিনি আরো বলেন, সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হতে চাইলে শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে নিজেদেরকে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে হবে।
এ সময় উপাচার্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে আরো রয়েছে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর রচনা প্রতিযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও গবেষণা দর্শন’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, বঙ্গবন্ধুর ঘটনা বহুল জীবনের উপর চিত্র প্রদর্শনী এবং তাঁর জীবন ও দর্শনের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।