September 17, 2025

একনেক সভায় ‘ডুয়েটের গবেষণাগারসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আধুনিকায়ন এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর আজকের সভায় ‘ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর গবেষণাগারসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আধুনিকায়ন এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (M-DUET)’ শীর্ষক প্রকল্প চুড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। জুলাই ২০২৫ থেকে জুন ২০২৯ পর্যন্ত চার বছর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। বহুল প্রত্যাশিত এ প্রকল্প অনুমোদন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মাইলফলক।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদনের পর ডুয়েটে আয়োজিত সংবর্ধনায় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ডুয়েটের গবেষণা কার্যক্রমকে বিশ্বমানের ও উদ্ভাবনমুখী করে গড়ে তোলার জন্য এই প্রকল্প একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ডুয়েটের গবেষণাগারসমূহ আধুনিকায়নের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরির ক্ষেত্রে ডুয়েট আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং মাননীয় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং অন্যান্য উপদেষ্টা মহোদয়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুতকরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং ডুয়েটের এলামনাইবৃন্দ ও সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা, শিক্ষানুরাগী শিক্ষক, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, উন্নত গবেষণা অবকাঠামো তৈরি, টেকসই আবাসন সুবিধা, বৈশ্বিক বাজারে কর্মসংস্থানের উপযোগী করে মানবসম্পদ তৈরি ও  বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবনমুখী পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে অনুমোদিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ডুয়েট হবে দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।’ 

উপাচার্য মহোদয় আরও বলেন, ‘ডুয়েট দেশের টেকসই উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রযুক্তির দ্রæত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে গবেষণাগার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে ডুয়েটের সক্ষমতা উন্নয়ন জরুরি। আমরা আশা করছি, আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের নেতৃত্বে অংশ নিতে পারবে আমাদের শিক্ষার্থীরা।’ তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য গবেষণাগার আধুনিকায়ন, একাডেমিক ও ল্যাবরেটরি ভবন নির্মাণ, নতুন ১৬০০ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সুবিধা এবং নিরাপত্তা ও আন্তঃক্যাম্পাস যোগাযোগের উন্নয়নই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।’ তিনি ডুয়েটের অগ্রযাত্রায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলকে শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত গবেষণা, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাণপ্রিয় ডুয়েট ও দেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। 

মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও স্থাপনায় সমৃদ্ধ হয়ে ডুয়েট হয়ে উঠবে একটি গবেষণার আদর্শ সুতিকাগার। তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় এবং মাননীয় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় এবং প্রকল্প অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও ডুয়েটের যৌথ বাস্তবায়নে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদনের সংবাদে ডুয়েটে সর্বস্তরে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপাচার্য মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

September 11, 2025

টেকসই উন্নয়নে সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা অনস্বীকার্য- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘টেকসই উন্নয়নে সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে এই জ্বালানি খাত এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্মার্ট গ্রিড, এনার্জি স্টোরেজ, হাইড্রোজেন ইকোনমি, কার্বন-নিউট্রাল প্রযুক্তি- এগুলো আর ভবিষ্যতের গল্প নয়, বরং আমাদের বর্তমান বাস্তবতা। শিক্ষার্থীদের শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, বাস্তব সমস্যার সমাধানের জন্য তাদের দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে সৃজনশীল গবেষণা এবং এআই, ইন্টারনেট অব থিংসসহ প্রযুক্তি-ভিত্তিক উদ্ভাবনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এনার্জি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশ শুধু স্বনির্ভরই হবে না, বরং বিশ্ববাজারেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে।’ আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে কক্ষে আয়োজিত “এক্সপ্লোরিং দ্য ক্যারিয়ার অপারচুনিটি ইন এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইই) ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। আইইই-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এন এম মোমিনুল ইসলাম মুকুটের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) সদস্য (ইনোভেশন) ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম। আইইই-এর প্রভাষক সেজুঁতি জামানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। 

সেমিনারে মাননীয় উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এ খাতে রয়েছে অপার সম্ভাবনা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ এসব বিষয়কে সামনে রেখে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি প্রসারিত করা, গবেষণা মনোভাব জাগ্রত করা এবং এনার্জি সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও আয়োজন করা যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষতায় প্রাণপ্রিয় ডুয়েটকে শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে আমরা কাজ করছি।’ তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই গবেষণার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক বিষয়গুলোতে আগ্রহী হয়ে প্রাণের এই বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ তিনি এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আইইই ও আইকিউএসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং এমন একটি ক্ষেত্রÑ যা একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত, অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নীতিনির্ধারণ, এনার্জি হারভেস্টিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক এনার্জি অপ্টিমাইজেশনসহ নানা ধরণের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের শিক্ষার্থীদের উচিত এই পরিবর্তনের অংশ হওয়া এবং জ্বালানি খাতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই সেমিনারটি অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার নতুন দিকগুলোর প্রতি সুযোগ সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ 

আইইই-এর পরিচালক তাঁর বক্তব্যে এনার্জি সেক্টরে ইনোভেশনের গুরুত্ব তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি নিরাপত্তা, সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জৈব-জ্বালানি, আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ইত্যাদির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং শিল্প, গবেষণা ও সরকারি খাতে এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদার বিষয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম জ্বালানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বাংলাদেশে সুযোগ-চ্যালেঞ্জ বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প, এনার্জি এফিশিয়েন্সি, কার্বন ম্যানেজমেন্ট এবং এ খাতে ক্যারিয়ার গঠন ও নতুন নতুন চাকরির সুযোগের বিষয়ে বিস্তরিত তুলে ধরেন। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সেমিনারটি সমাপ্ত হয়। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, পরিচালকসহ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

September 01, 2025

শিক্ষা, প্রযুক্তি ও সৃষ্টিশীলতায় ডুয়েট হোক অগ্রদূত- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘ডুয়েটের ২২ বছরের এই যাত্রা একটি স্বপ্নপূরণের ইতিহাস। ডুয়েট আজ দেশের অন্যতম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও সৃষ্টিশীলতায় ডুয়েট হোক অগ্রদূত। শিক্ষার মান উন্নয়ন, গবেষণা, উদ্ভাবন, শিল্পক্ষেত্রে সুদৃঢ় সম্পৃক্ততা- এসবই ডুয়েটকে আজকের এই অবস্থানে এনেছে। যাদের শ্রম, নিষ্ঠা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডুয়েট আজকের এই অবস্থানে এসেছে, বিশেষ করে ডুয়েট নামকরণের আন্দোলনে যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’ আজ সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে ‘ডুয়েট ডে- ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ডুয়েট’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটির উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, কেক কাটা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ‘ডুয়েট ডে- ২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শাকিল পারভেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের ‘ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড’, কিউ ওয়ান ইনডেক্স জার্নালে প্রকাশনার জন্য শিক্ষকদের ‘একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এবং ডিজাইন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলোতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। 

মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ‘ডুয়েট ডে- ২০২৫’ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও বলেন, ‘আমরা এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সাইবার সিকিউরিটিসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করাই এখন সময়ের দাবি। ডুয়েট সেই দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডুয়েটের বর্ষপূর্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয়- আমাদের লক্ষ্য কেবল ডিগ্রি প্রদান নয়, বরং দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে ডুয়েট বিশ্বের শীর্ষ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাতারে পৌঁছে যাবে।’ তিনি ডুয়েটের শিক্ষক ও গবেষকদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার এবং শিক্ষার্থীদের গেøাবাল লিডার হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘আজ আমাদের শিক্ষার্থীরা যেমন দেশ-বিদেশে মেধার স্বাক্ষর রাখছে, তেমনি তারা নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, আধুনিক প্রযুক্তি চর্চা ও সৃজনশীল কাজে অবদান রেখে যাচ্ছে। তারা শুধু নামকরা জাতীয় প্রতিষ্ঠানে নয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রে নিজেদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপি বৃদ্ধি, শিল্প-উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের অবদান অনন্য।’ এ সময় তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলকে ‘ডুয়েট ডে- ২০২৫’ এর শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়া অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শরাফত হোসেন ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের স্ব স্ব অনুষদের ২০২০-২০২১ সেশন থেকে ২০২২-২০২৩ সেশনের কৃতী শিক্ষার্থীদের ডীনস্ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণার মাধ্যমে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মো. আনওয়ারুল আবেদীন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণার মাধ্যমে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। পরে বিশেষ অতিথি বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামাল-আল-হাসান ডুয়েট মসজিদের ডিজাইন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ঘোষণা করেন এবং এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব। অনুষ্ঠানে ডুয়েটের দুই কৃতী শিক্ষার্থীসহ চারজন শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন। দিনব্যাপী নানা বর্ণিল আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে গোটা ক্যাম্পাস উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। 

August 28, 2025

ডুয়েট ও বিআইএম-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম), ঢাকা-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষায় আধুনিকায়ন এবং শিল্পক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ডুয়েটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এবং মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার।

এ সময় ডুয়েটের পক্ষ থেকে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব এবং বিআইএম-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (আইকিউএসি) ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ইঞ্জি. মো. মামুনুর রশীদ। এ সময় ডুয়েটের পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মো. আনওয়ারুল আবেদীন এবং বিআইএম-এর বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ড. উত্তম কুমার দত্ত উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা ও পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি ও প্রযুক্তি-নির্ভর দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। এই এমওইউ-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা শুধু আধুনিক ল্যাবরেটরি সুবিধাই পাবেন না, বরং শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা ও প্রশিক্ষণে যুক্ত হতে পারবেন, যা তরুণদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করবে। এ উদ্যোগের ফলে বিআইএম-এর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ডুয়েট-এর আধুনিক ল্যাবরেটরি ও গবেষণা সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি ডুয়েট-এর অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ বিআইএম-এর বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই এমওইউ-এর আওতায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জেন-এআই, ইন্টারনেট অব থিংস, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, এআর/ভিআর, বøকচেইন, রোবটিক্স ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে যৌথ প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ডুয়েট-বিআইএমের এই যৌথ উদ্যোগ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, শিল্পক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও শিল্পক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করবে, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ডুয়েট-বিআইএমের এই যৌথ উদ্যোগ জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

August 27, 2025

হিট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইউজিসির সঙ্গে ডুয়েটের চুক্তি

‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্পের তিনটি উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)-এর সঙ্গে  ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।  আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত হিট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডুয়েট থেকে নির্বাচিত তিনটি উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। 

এ সময় ডুয়েটের পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব এবং উপ-প্রকল্পগুলোর পরিচালক যথাক্রমে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ মোস্তফা আফরোজ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাহিদ এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান ফরহাদ।

ডুয়েট থেকে নির্বাচিত তিনটি উপ-প্রকল্প হলো যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ মোস্তফা আফরোজের অধীনে “Carbon Capture from Exhaust Gas for Sustainable Industrial Effluent Treatment Process”, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাহিদের অধীনে “Development of Fire Safety Assessment Framework for the Ready-Made Garments Industry in Bangladesh: Focusing on Combustible Materials and Fire Risk Mitigation” এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান ফরহাদের অধীনে “A Laboratory Experiment on Artificial Intelligence-driven Tools in Higher Education: Paradigm Transformation and Academic Enhancement” শীর্ষক গবেষণা প্রকল্প। দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি এই হিট প্রকল্পের ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক। 

উল্লেখ্য, হিট প্রকল্পের নির্বাচিত উপ-প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডুয়েটের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত গবেষণা এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশন ও নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন, বিদ্যমান অবকাঠামোর আধুনিকায়ন, এ্যাডভান্স রিসার্চ ও ইনোভেশন সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিস ও ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে ডুয়েটের অবস্থান উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

August 18, 2025

মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে উপাচার্য মহোদয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর শিক্ষা, গবেষণা এবং সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার-এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ডুয়েটের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় - শিক্ষা, গবেষণা, ভূমি সম্প্রসারণ, বাজেট ও প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি যেমন- শৃঙ্খলাপূর্ণ একাডেমিক পরিবেশ, এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, উন্নত গবেষণা সুবিধা, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও প্রকাশনা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক ও টেকসই উন্নয়নে অবদানসহ সামগ্রিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সামগ্রিক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ডুয়েটের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে উপাচার্য মহোদয় আগামী ০১ সেপ্টেম্বর ডুয়েটের বর্ষপূতি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য ‘ডুয়েট ডে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সদয়ভাবে গ্রহণ করেন।

উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য মাননীয় উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের টেকসই উন্নয়ন এবং শিক্ষা, উদ্ভাবন ও গবেষণার উৎকর্ষতায় প্রাণপ্রিয় ডুয়েটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

August 10, 2025

ডুয়েটের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বি.আর্ক প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বি.আর্ক প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা-২০২৫ আজ রবিবার (১০ আগস্ট) সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে রবিবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকা হতে দুপুর ১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মেটেরিয়াল্স এন্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও আর্কিটেকচার বিভাগ-এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

একই দিন দুপুর ২.০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ-এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার এবং ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শরাফত হোসেন সহ অন্যান্য অধ্যাপকবৃন্দ পরীক্ষার হলসমূহ পরিদর্শন করেন। উপাচার্য মহোদয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে ডুয়েটের সবুজ ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়ে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার সফলতা কামনা করেন। তিনি নির্বিঘœ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

August 05, 2025

মহাকাব্যিক জুলাইয়ের আত্মত্যাগ ও স্পিরিটই নতুন বাংলাদেশের পথনির্দেশক - ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে সংঘটিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ইতিহাসে এক অনন্য মহাকাব্য। সেই আত্মত্যাগ আর ঐক্যের স্পিরিটই বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও উদ্ভাবনমুখী নতুন বাংলাদেশের পথনির্দেশক। আমরা যদি ঐতিহাসিক ও মহাকাব্যিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেই স্পিরিট হৃদয়ে ধারণ করে কাজ করি, তবে বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।’ আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই গণঅভ্যুত্থান কর্নারে আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খসরু মিয়া।

মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, ‘দেশের সকল বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদ দূর করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দরকার একটি সম্মিলিত প্রয়াস ও ঐক্য, যেটি আমরা পেয়েছিলাম সেই ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভূত্থানে।’ তিনি জুলাইয়ের স্পিরিটকে বুকে ধারণ করে শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনায় প্রাণপ্রিয় ডুয়েটকে বিশ্বমানে উন্নয়নের লক্ষ্যে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। এ সময় তিনি সকলকে ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের শিক্ষা দেয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে, সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে নিজেদের অধিকার আদায় করতে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট থেকেই আমরা ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আসুন, আমরা একজন দায়িত্ববান দেশপ্রমিক নাগরিক হিসেবে একটি বৈষম্যমুক্ত ও সাম্য এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়ি।’

এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন-এর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মাননীয় উপাচার্য শহিদ আবু সাঈদ প্রশাসনিক ভবন, শহিদ শাকিল পারভেজ অডিটোরিয়াম ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান কর্নারের নামফলক উম্মোচন করেন। অনুষ্ঠানগুলোতে মাননীয় উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধানবৃন্দ এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

July 19, 2025

মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের সচেতন ও সক্রিয় হওয়া অপরিহার্য- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের সচেতন ও সক্রিয় হওয়া অপরিহার্য। ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর যে অমানবিক নিপীড়ন, নির্যাতন, অবিচার, গুলি ও খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে, তার ট্রমা এখনো তারা কাটিয়ে উঠতে পারে নি। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি দরকার মানসিক দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস এবং চাপ মোকাবিলার সক্ষমতা। এই আয়োজন সেই আত্মচর্চার দরজা খুলে দিবে। গত ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শাকিল পারভেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘‘ম্যানেজিং স্ট্রেস: প্র্যাকটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস ফর ডেইলি লাইফ অব ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস’’ শীর্ষক সচেতনতামূলক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারটি তিনটি ধাপে যথাক্রমে ১৭, ২৪ ও ৩১ জুলাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ডুয়েট মেডিকেল সেন্টারে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালুর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমি মনে করি, প্রতিযোগিতামূলক সমাজব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী কীভাবে নিজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে এটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জীবনের প্রতিটি অধ্যায়েই কিছু না কিছু চাপ থাকবে, কিন্তু সেই চাপকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার কৌশল জানলে তা হয়ে উঠতে পারে নতুন অনুপ্রেরণার উৎস। এ ধরনের সচেতনতামূলক সেমিনার তোমাদের নিজেদের ভেতরের সক্ষমতা, সহনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে পারে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মকে শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়, বরং বাস্তবজীবনের দক্ষতা অর্জনেও এগিয়ে যেতে হবে। আর মানসিক চাপ মোকাবিলার মতো বিষয়গুলো সেই দক্ষতার অন্যতম অংশ। তিনি শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ সঠিকভাবে মোকাবিলা করে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জীবন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নাজিম উদ্দীন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শরাফত হোসেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, সায়েন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামাল-আল-হাসান, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস এবং মেডিকেল সেন্টারের অফিস প্রধান ডা. রাবেয়া নাসরিন আখন্দ। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের মেডিকেল সেন্টারের ক্লিনিক্যাল কাউন্সেলর ও অভিজ্ঞ মনোবিজ্ঞানী সানজিদা আফরোজ। তিনি তাঁর বক্তব্যে মানসিক চাপের উৎস, প্রতিক্রিয়া এবং তা প্রতিদিনের জীবনযাপনে কীভাবে প্রভাব ফেলে, তা সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করেন। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে কীভাবে আত্ম-সচেতনতা, সময় ব্যবস্থাপনা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও মানসিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন । 

July 18, 2025

জুলাই স্পিরিটের আলোকে গবেষণালব্ধ জ্ঞান সাধনার মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত সৃজনশীলতা ও জ্ঞানচর্চার প্রকাশ ঘটে। ডুয়েট আজ শুধু প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় নয়, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জুলাই স্পিরিটের আলোকে গবেষণালব্ধ জ্ঞান সাধনার মাধ্যমে ডুয়েট ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন গবেষকদের উৎসাহিত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সংস্কৃতিকে আরও বেগবান করবে।’ গত ১৬ জুলাই (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের ৩১১ নং সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত ডুয়েট শিক্ষকবৃন্দের জন্য মঞ্জুরকৃত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের গবেষণা প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য প্রাণের এই ডুয়েটে প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে যুগোপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য স্বপ্ন ও লক্ষ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানান। তিনি এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) এর দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) এর দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই রিসার্চ প্রোজেক্ট অ্যাওয়ার্ডিং অনুষ্ঠানে  ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের গবেষণা প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অধ্যাপক ড. মো. আনওয়ারুল আবেদীন। এ সময় পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজালাল খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথি মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘প্রকৌশল গবেষণা আমাদের জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। আমরা চাই গবেষণার ফলাফল যেন শিল্প কারখানা এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য হয়।’ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা, র‌্যাংকিং ও প্রকাশনা বৃদ্ধির জন্য গবেষণা খাতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য ইউজিসিকে অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ৩৪ টি গবেষণা প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক এবং মঞ্জুরকৃত গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ ও সহযোগী পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

July 17, 2025

ডুয়েটে ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে র‍্যালি, বৃক্ষরোপণ ও পোস্টার প্রদর্শনী

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে র‌্যালি, বৃক্ষরোপণ ও পোস্টার প্রদর্শনী হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘রিমেম্বারিং জুলাই হিরোস’ শিরোনামে র‌্যালি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার সহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধানবৃন্দ এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

পরে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ডুয়েটের কেন্দ্রিয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ করেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ আবু সাঈদ প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে পোস্টার প্রদর্শনী হয়েছে।

July 16, 2025

জুলাইয়ের স্পিরিটের আলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে যে ঐতিহাসিক ও মহাকাব্যিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সংঘটিত হয়েছিল, ইতিহাসে তা বিরল। এই গণঅভ্যুত্থানে সকল ভেদাভেদ ভুলে ছাত্র-জনতা যেভাবে এক কাতারে দাঁড়িয়েছিল, ঠিক একইভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের আলোকে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।’ আজ বুধবার (১৬ জুলাই) ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শাকিল পারভেজ অডিটোরিয়ামে দুপুরে আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গাজীপুরের প্রথম শহিদ শাকিল পারভেজ এর সম্মানিত পিতা জনাব মো. বেলায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস এবং পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দপ্তরের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে জুলাই হিরোদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। 

মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের এই স্পিরিটকে বুকে ধারণ করলে কখনোই পথ হারাবে না বাংলাদেশ। মহাকাব্যিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা বৈষম্যহীন একটা সমাজ গড়ে তুলতে পারবো। তিনি জুলাইয়ের স্পিরিটকে বুকে ধারণ করে শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনায় প্রাণপ্রিয় ডুয়েটকে বিশ্বমানে উন্নয়নের লক্ষ্যে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে জাতির সংগ্রামের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় উল্লেখ করে বলেন, ‘এই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা ও ন্যায়ের পথ চলার নতুন করে আলো জ্বালিয়েছে। এই অভ্যুত্থান শুধু একটি অধ্যায় নয়; এটি ন্যায়বিচার ও সাম্যের ভিত্তি স্থাপনের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। আসুন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ি, যেখানে প্রযুক্তি ও নৈতিকতা হাত ধরাধরি করে হাঁটে। যেখানে একজন প্রকৌশলী হবে না কেবল একজন নির্মাতা, হবে একজন দায়িত্ববান দেশপ্রমিক নাগরিক।’

বিশেষ অতিথি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান একদিনের ফসল নয়। এটি দীর্ঘদিনের অনাচার, অন্যায়, অবিচার, গুম, খুন, লুটপাট, গণতন্ত্রহীনতা ও বাক-স্বাধীনতাহীনতার ফল।’ তিনি ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে বুকে ধারণ করে একটি গণতন্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহŸান জানান।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গাজীপুরের প্রথম শহিদ শাকিল পারভেজ এর সম্মানিত পিতা জনাব মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘শহিদ শাকিল পারভেজ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য প্রথম সারিতে থেকে সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতো এবং মানবসেবায় নিয়োজিত ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে খুনিদের বিচারের হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে।’

অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ডুয়েটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে সিই বিভাগের আফসানা আক্তার, টিই বিভাগের আতিয়ার রহমান, ইইই বিভাগের মো. আবদুল্লাহ এবং এমএমই বিভাগের শিক্ষার্থী তাছনীম আলম সাঈদী অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি  অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়ব বৈষম্যমুক্ত ও বিভেদহীন বাংলাদেশ গড়ার আহŸান জানিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

এর আগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সকালে ভিসি মহোদয়ের বাংলোর সম্মুখের দেয়ালে জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপর গ্রাফিতি উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য। এ সময় মাননীয় উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ডুয়েট মেডিকেল সেন্টার আয়োজিত এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বজনের বাস্তবায়নে ও রিদম বøাড সেন্টারের সহযোগিতায় রক্তদান কর্মসূচী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের সম্মুখে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কর্ণার’ উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য। এ সময় মাননীয় উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধানবৃন্দ এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

July 15, 2025

শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানে প্রস্তুত করার জন্য গবেষণাভিত্তিক ও বাস্তবধর্মী কর্মশালার বিকল্প নেই- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘ফ্লুইড ডায়নামিক্স অ্যান্ড সিএফডি অ্যাপ্লিকেশন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন প্রকৌশল শিক্ষার একটি অপরিহার্য অংশ। এই বিষয়ে উন্নত গবেষণা ও ব্যবহারিক প্রয়োগ টেকসই উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আর সিএফডি-এর মাধ্যমে আমরা জটিল ফ্লুইড সমস্যাগুলো কম্পিউটার নির্ভর বিশ্লেষণের মাধ্যমে মডেলিং ও সমাধান করতে পারি। ডুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানে প্রস্তুত করতে হলে এ ধরনের গবেষণাভিত্তিক ও বাস্তবধর্মী কর্মশালার বিকল্প নেই।’ আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের ৩১১ নং সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত “ফ্লুইড ডায়নামিক্স অ্যান্ড সিএফডি অ্যাপ্লিকেশন্স ইন অটোমেটিভ ডিজাইন” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনাকে বিশ্বমানে উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবোরেশনের মাধ্যমে প্রাণপ্রিয় ডুয়েটকে একটি শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে কাজ করছি।’ এ বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা অটোমোবাইল কোম্পানি ফোর্ড মোটর কোম্পানি-এর সিএফডি সেকশনে কর্মরত এবং মিশিগানের লরেন্স টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর ড. আহসানুল করিম। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ও আইকিউএসি-এর উদ্যোগে আয়োজিত এবং আবেদীন রিসার্চ ল্যাবের সহযোগিতায় কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় আমাদের শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা অর্জনের লক্ষ্যে এই কর্মশালাটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। আমি বিশ্বাস করি এই কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা সেক্টরে দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।’

গত ১৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালায় আলাদা আলাদা টেকনিক্যাল সেশনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সিএই/সিএফডি ডিজাইন ও বাস্তব সমস্যা সমাধানের কৌশল বিষয়ে হাতে-কলমে শেখানো হয়। মূল প্রবন্ধে ড. আহসানুল করিম তার অভিজ্ঞতা ও বাস্তব জীবনের জটিল প্রকৌশল সমস্যা সমাধানে সিএফডি-এর ব্যবহার, আধুনিক ডিজাইন প্রসেসে সিএই/সিএফডি-এর ভূমিকা এবং ডিজাইন ফর সিক্স সিগমা (ডিএফএসএস)-এ সিএফডি প্রযুক্তির একীভূত প্রয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

July 11, 2025

ডুয়েটের সার্বিক উন্নয়নে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে উপাচার্য মহোদয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর শিক্ষা, গবেষণা এবং সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার-এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ডুয়েটের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়- ভূমি সম্প্রসারণ, সমাবর্তন আয়োজন, বাজেট, প্রশাসনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) হালনাগাদকরণ, গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রম, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং এবং প্রস্তাবিত প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি যেমন- শৃঙ্খলাপূর্ণ একাডেমিক পরিবেশ, এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, উন্নত গবেষণা সুবিধা, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও প্রকাশনা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক ও টেকসই উন্নয়নে অবদানসহ সামগ্রিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সামগ্রিক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ডুয়েটের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে ডুয়েটের পক্ষ থেকে মাননীয় উপদেষ্টাকে সুবিধাজনক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তা সদয়ভাবে গ্রহণ করেন। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব জনাব সিদ্দিক জোবায়ের সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাননীয় উপদেষ্টার দিক-নির্দেশনা ও মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং দেশের টেকসই উন্নয়নে ডুয়েট আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে বলে উপাচার্য মহোদয় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রাণপ্রিয় এই ডুয়েটকে জ্ঞান সৃষ্টি, শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং গবেষণার উৎকর্ষতায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

July 07, 2025

আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে- ডুয়েট উপাচার্য

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও দক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম চালিকাশক্তি। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর্থিক শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য বাজেট প্রণয়ন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপেই দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডুয়েটের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সকল পর্যায়ে পূর্বের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দক্ষতা ও সময়ানুবর্তিতা মেনে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান, বিধি-বিধান চর্চা এবং মানবিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে আমরা যদি কাজ করি, তবে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করে অগ্রসর হওয়া যাবে।’ আজ সোমবার (০৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের ৩১১ নং সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত “ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট: বাজেট অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট” বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন ‘বাজেট ও প্রকিউরমেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের কর্মশালা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। আর্থিক বিষয়াবলির যথাযথ বাস্তবায়ন ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে আইন-কানুন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পরিকল্পনা, দক্ষতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রাণপ্রিয় এই ডুয়েটকে সর্বক্ষত্রে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যাবো।’ এ বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পট্রোলার অফিস ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

কম্পট্রোলার অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন ডুয়েটের কম্পট্রোলার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন, ‘প্রশাসনিক কাঠামো গতিশীল রাখা ও আর্থিক নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা এবং বাজেট ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের প্রতিনিয়ত শিখতে হবে এবং নিজেদের আপডেট রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এই কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনা  ও প্রশাসনিক কাঠামো গতিশীল, স্বচ্ছ ও সুদৃঢ় হবে।’

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম অফিস বাজেট প্রণয়ন, ক্রয় পরিকল্পনা, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিধিমালা, অফিস ব্যবস্থাপনা, প্রতিবেদন তৈরিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উদাহরণসহ কৌশলগত দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন অফিস ও শাখা প্রধান, অতিরিক্ত পরিচালক, সহকারী হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।