ডুয়েটে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস পালিত
বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি.) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন উপ-উপাচার্যসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), অফিস প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বাণীতে উপাচার্য বলেন, আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্ম। কিন্তু একটি ফুল কুঁড়িতেই শেষ হয়ে যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেট আঘাত হানে তাঁর বুকে। পৃথিবীতে যুগে যুগে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটেছে কিন্তু এমন নির্মম, নিষ্ঠুর এবং পৈশাচিক হত্যাকান্ড কোথাও ঘটেনি; যেখানে এক ছোট্ট শিশু রাসেলও রেহাই পায়নি। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ একজন সু-নাগরিক হিসেবে দেশকে আরো উন্নতির শিখরে নিয়ে যেত। আমরা সেই সুযোগ হারিয়েছি। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আমি শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু-পরিবার তথা শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রকৃত ইতিহাস জানানোর জন্য সকলকে প্রচেষ্টা গ্রহণের আহবান জানাই। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বাণীতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, শেখ রাসেলের স্মৃতি আজও কাঁদিয়ে ফেরে বাংলার মানুষকে। আবহমান বাংলার চিরায়ত শিশুর প্রতিকৃতি হিসেবে শেখ রাসেল প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল ধরে।
এরপর ক্যাম্পাসে অবস্থিত ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের উদ্যোগে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ যোহর শহীদ শেখ রাসেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মন্দির ও উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ রাসেলকে নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী, সন্ধ্যায় ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে।